সংসদীয় গণতন্ত্রে, আইনসভা কর্তৃক উত্তীর্ণ করা বিলগুলোতে রাজ্যপালদের একতরফা ভোটে প্রদান করার সুযোগ থাকে না। আইনসভার একটি অবৈধ অধিবেশনে কিছু বিল গ্রহণ করা হয়েছে, এই অজুহাত দেখিয়ে, রাজ্য বিধানসভার উত্তীর্ণ করা কিছু বিলে পাঞ্জাবের রাজ্যপাল বানওয়ারিলাল পুরোহিত নিজের সম্মতি প্রদান স্থগিত রাখার পর, এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে হওয়া মামলাতে এটাই ছিল আদালতের মূল বক্তব্য। বিলে সম্মতি প্রদান সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ ২০০-এর ব্যাপারে আদালতের পর্যবেক্ষণের সাথে সংসদীয় গণতন্ত্রের মূল ভাবনা সামঞ্জস্যপূর্ণ: রাজ্যের শাসনপ্রক্রিয়া পচিলানাকারী আইনসভার কাছে নির্বাচিত সরকার দায়বদ্ধ থাকবে। বিলে সম্মতি প্রদান করা একটি আনুষ্ঠানিকতা, তবে অন্যান্য বিকল্প - সম্মতি প্রদান স্থগিত করা বা রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য বিল সংরক্ষণ করা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। অনুচ্ছেদের একটি সংস্থানে বলা হয়েছে, আইনসভার পুনরায় বিবেচনার জন্য যত দ্রুত সম্ভব রাজ্যপাল সংশ্লিষ্ট বিল (যদি অর্থবিল না হয়) ফেরত পাঠাতে পারেন। তবে সেই বিলটি কোনো সংশোধন সহ বা সংশোধন ছাড়া আবার উত্তীর্ণ করে রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হলে, তিনি সেটিতে সম্মতি প্রদান স্থগিত রাখতে পারেন না। সুপ্রিম কোর্ট এবার সম্মতি প্রদান স্থগিত এবং সংস্থানটির ক্ষমতা একযোগে পড়েছে এবং নির্ধারণ করেছে যে, রাজ্যপাল যখনই সম্মতি প্রদান স্থগিত রাখবেন, তখনই তাকে সংশ্লিষ্ট বিলটি আইনসভায় পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরত পাঠাতে হবে। বাস্তবে এর মানে হচ্ছে, প্রথমবার বিল পাওয়ার পর রাজ্যপাল সেটিতে সম্মতি দেবেন অথবা বিলটির দ্বিতীয় প্যাসেজে তিনি সেটি করতে বাধ্য থাকবেন।
আদালত সঠিকভাবেই এটি উল্লেখ করেছে যে, যে সিস্টেমে মূলত মন্ত্রীসভার কাজে সাহায্য করা এবং তাদেরকে পরামর্শ দেওয়াই রাজ্যপালের কাজ, সেখানে তিনি বিলে সম্মতি প্রদান স্থগিত রাখতে পারেন না এবং যত দ্রুত সম্ভব তাকে পদক্ষেপ নিতে হবে। একটি সুনির্দিষ্ট সময়সীমার অনুপস্থিতির কারণে ক্যাবিনেট বা আইনসভার প্রস্তাবে পদক্ষেপ নেওয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য বিলম্বিত করা যায় বলে যে সব রাজ্যপাল মনে করেন, এটি তাদের প্রতি আদালতের একটি স্পষ্ট, কড়া বার্তা। বিধানসভার ওই সুনির্দিষ্ট অধিবেশনকে পুরোহিত অবৈধ বলে দাবি করেছেন, তার কারণ মুলতুবী থাকা সভাকে পুনরায় মিলিত হওয়ার জন্য স্পিকার নিজে থেকেই আহ্বান জানিয়েছিলেন - এই যুক্তিটি খারিজ করা হয়েছে। আদালত রায় দিয়েছে যে, পূর্ববর্তী অধিবেশটি শুধুমাত্র মুলতুবী করা হয়েছিল, বাতিল করা হয়নি। এই রায়ের পর, বিলে রাজ্যপালদের সম্মতি প্রদানের মাধ্যমে আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় রাজ্যপালদের ভূমিকা নিয়ে আর কোনো বিতর্ক থাকা উচিত নয় এবং কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসাবে রাজ্যপাল এবং রাজ্যের নির্বাচিত সরকারের মধ্যে লড়াই অবশ্যই বন্ধ হওয়া দরকার। রাজ্যপালদের হাত থেকে একতরফাভাবে বিল খারিজ করার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার ফল হিসাবে, এর পরেও কিছু বিতর্কের সুযোগ থাকতে পারে, যদি তারা নিজেদের অনুমোদন না করা বিলগুলো রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে থাকেন। এরকম পরিস্থিতি তৈরি হতে দেওয়া উচিত নয়।